১. পানির পরীক্ষা (Water Test):
– এক গ্লাস পানিতে মধুর কয়েক ফোঁটা দিন। খাঁটি মধু সরাসরি নিচে বসে যাবে এবং দ্রুত মিশবে না। ভেজাল মধু পানির সাথে মিশে যেতে পারে বা ছড়িয়ে পড়বে।
২. আঙুলের পরীক্ষা (Thumb Test):
– আঙুলে এক ফোঁটা মধু নিন। খাঁটি মধু তরল হয়ে ছড়াবে না বা আঙুলে আটকে থাকবে। ভেজাল মধু আঙুলে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
৩. আগুনের পরীক্ষা (Flame Test):
– একটি ম্যাচস্টিকের মাথা মধুতে ডুবিয়ে আগুন জ্বালানোর চেষ্টা করুন। খাঁটি মধুতে অগ্নিসংযোগ করা গেলে তা জ্বলে উঠবে (কারণ মধুতে প্রাকৃতিক চিনি থাকে)। ভেজাল মধুতে বেশি আর্দ্রতা থাকায় এটি জ্বলবে না।
৪. কাগজের পরীক্ষা (Paper Test):
– সাদা কাগজ বা ন্যাপকিনে মধু ঢালুন। খাঁটি মধু কাগজে ভেজা দাগ রেখে শোষিত হবে না। ভেজাল মধু কাগজ ভিজিয়ে দেবে।
৫. গন্ধ ও স্বাদ (Smell & Taste):
– খাঁটি মধুর গন্ধে ফুলের সুগন্ধ থাকে, এবং স্বাদে হালকা টকভাব বা গলা জ্বালাপোড়া অনুভূত হতে পারে। ভেজাল মধুতে কৃত্রিম মিষ্টি বা চিনির স্বাদ থাকতে পারে।
৬. তাপ প্রয়োগ (Heat Test):
– খাঁটি মধু গরম করলে এটি ধীরে ধীরে ক্যারামেলাইজড হবে (গাঢ় বাদামি রং) তবে জ্বলে উঠবে না। ভেজাল মধু গরম করলে ফেনা উঠতে পারে বা জ্বলে যেতে পারে।
৭. মৌচাকের প্রাকৃতিক গঠন:
– মৌচাক থেকে সরাসরি মধু নিলে তা সাধারণত খাঁটি হয়। মৌমাছিরা প্রাকৃতিকভাবে মধু সংরক্ষণ করে, তাই মৌচাকের মধুতে ভেজাল কম থাকে।
সতর্কতা:
– বাজারের অনেক মধুতে চিনির সিরাপ, পানি বা কৃত্রিম রং মেশানো থাকে।
– বিশ্বস্ত উৎস বা স্থানীয় মৌয়ালের কাছ থেকে মধু কিনুন স্ব শরীরে উপস্থিত থেকে।
তবে মনে রাখবেন, উপরের কোনো একটি পদ্ধতিই ১০০% নির্ভরযোগ্য নয়; কয়েকটি পদ্ধতি একসাথে প্রয়োগ করে নিশ্চিত হওয়া ভালো।