সিলেট প্রতিনিধি: সিলেট জেলার হাওর বেষ্টিত জেলা যেখান চা, ধান, টমেটো চাষে ছিল সীমাবদ্ধ। তবে এখন আর কৃষকগন এইসকল ফসলের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সবজী চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে, বালু, পাথরের কোয়ারী বন্ধ থাকার ফলপ্রসূতীতে বেকার ছিল হাজার হাজার শ্রমিকগন। এই হাওরের জমি গুলোতে শুধু মাত্র ধান চাষ ব্যতীত কোন চাষাবাদ হতো না। এখন তরমুজ চাষে কৃষকগন আগ্রহী হচ্ছেন।
তাঁরা অনেক দু:খ কস্টে জীবনা-যাপন করতেন। সেই দু:খ-কস্ট লাঘবে তারা শুরু করেন পতীত জমিতে তরমুজ চাষ।। সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর উপজেলার প্রায় ৭০০-৭৫০ হেক্টর জমিতে এই বার তরমুজ চাষ হয়েছে। এই তরমুজ চাষে কারনে এলাকায় সার-বীজ ও বালাইনাশক ব্যবসা বানিজ্যর প্রসারের পাশাপাশি ও অনেক শ্রমিকদের কর্মসংস্থান ব্যবস্থা হয়েছে।।
মনজিলতলা গ্রামের কৃষক জয়নাল আবেদীন বলেন, আমরা দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে তরমুজ চাষ করতেছি তবে এই বছর তরমুজ চাষ করে অধিক লাভবান হতে পারবো – ইনশাআল্লাহ, তবে সার ও বালাইনাশক দাম বৃদ্ধি পাওয়াতে কৃষকগন সংকিত। কারন এক বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করতে সার, বীজ, বালাইনাশক ও সেচ মিলিয়ে প্রায় ৫০-৬০ হাজার টাকা খরচ হয়ে থাকে। সবচেয়ে চাষীদের বড় সমস্যা হচ্ছে, সেচ ব্যবস্থা।। কারন এই এলাকা গুলোতে সেচ ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। অনেক দূর থেকে পানি এনে তরমুজ সেচ দিতে হয়ে, যা অনেক কস্ট সাধ্য ও ব্যয় বহুল।। যদি সরকারীভাবে কৃষকদের জন্য সেচ ব্যবস্থা করত তাহলে কৃষকগন অনেক উপকৃত হতো পাশাপাশি অন্যান্য ফসল চাষে আগ্রহী হতো।।।
সেচ সমস্যার পর থেমে নেই কৃষকগন, তারা নিজ উদ্দোগ্যে সেচের ব্যবস্থা করে। বর্তমান বাজার মূল্য অনুসারে প্রতিটি তরমুজ ১৫০-২২০ টাকা পিস হিসাবে পাইকারী করতে পারছেন। সকল খরচে বাদে কৃষকগন বিঘা প্রতি ১-১.৫ লক্ষ টাকা লাভবান হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর তথ্য মতে, উপজেলা কৃষি থেকে কৃষকদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য উপসহকারী কর্মকর্তাগন কৃষকদের সহায়তা প্রদান করছেন এবং সেচ ব্যবস্থা জন্য চাষীদের কে বিএডিসি সেচ প্রকল্প অধিদপ্তরে যোগাযোগ করার জন্য পরামর্শ করেন।।